শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা থেকে মো.মিহাদ :
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে গড়ে ওঠা বৈষম্যহীন তরুণ্য নতুন ধারার রাজনৈতিক সংগঠন গনঅধিকার পরিষদ (জিওপি) এর তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় এক আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এই আনন্দ র্যালিতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং যুবঅধিকার পরিষদের সেক্রেটারি সভাপতি ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন মির্জাগঞ্জের অনেক সাধারণ জনগণ। এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিকাল ৪ ঘটিকার সময়। প্রথমে কুরআন তিওলাত দিয়ে শুরু হয়। কুরআন তিলাওয়াত করেন মো:ইমরান। তারপর বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়ে থাকেন। ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ নয়ন খলিফা।
তিনি বলেন, “এই গণঅধিকার পরিষদ আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি।এই দলকে আমরা ভালবাসি। এই গন অধিকার পরিষদ আমরা নিজ অর্থায়নে চালাই। আমরা কিছু পাবার আশায় এই রাজনীতি করিনা। আমরা রাজনীতি করি মানুষের উপকারের জন্য। তাই আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ আমরা যদি নিজ দায়িত্বে আগাই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যার যার জায়গার থেকে সচেতন হই। তাহলে এই গণধিকার পরিষদ অনেক এগিয়ে যাবে।”
ছাএ অধিকার পরিষদে যুগ্ম আহবায়ক মো:মিহাদ তার বক্তব্য বলেন, “এই গনঅধিকার পরিষদ ৩য় বার্ষিক উদযাপন উপলক্ষে এসেছি।আমাদের এই উদযাপন এক সময় ঐ ছাএলীগ করতে দিত না। আমরা অনেক হয়রানি হয়েছি,শরীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।আজকে আমরা স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারতেছি।এর পিছনে নুর ভাইয়ের অনেক অবদান রয়েছে।তাই আমরা গনঅধিকার পরিষদ এগিয়ে নেওয়ার জন্য যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
গন অধিকারের পরিষদের সভাপতি মো:দুলাল ফকির বলেন, “২০১৮ সাল থেকে আন্দোলন করে কোটা সংস্কার করে আমরা আজ একটা স্বাধীনতা পেলাম। এক সময় আমরা কোন মিছিল মিটিং করতে পারতাম না। ওই ছাত্রলীগ আমাদের কোন মিছিল মিটিং করতে দিতনা। যদি আমরা কোন মিটিং ডাকতাম তাহলে তারা ভেঙে দিত। আজকে তো আমরা তৃতীয় বার্ষিকী করতেছি। আনন্দ র্যালি করতেছি। আপনারা আসছেন অনেক মানুষ আসছেন, আমি অনেক খুশি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা মাত্র তিনজনে কেক কেটেছি, তখন লোক পাইনাই, মানুষ ভয়তে আসে নাই। গণঅধিকার পরিষদ ঠিকই তারা ভালবাসতো কিন্তু তারা ঐ ছাত্রলীগের ভয়ে,ঐ ফ্যাসিবাদের সরকারের ভয়ে মামলা হামলার ভয়ে আমরা কোন অনুষ্ঠানে মানুষ আসতে পারেনি। এখন দেশ স্বাধীন হয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনারা অনেক মানুষ এসেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন গণধিকার পরিষদ কে শক্তিশালী করুন।”
যুব অধিকারের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো:মাসুম বিল্লাহ বলেন, “গণধিকারের পরিষদের তৃতীয় বার্ষিকী প্রতিষ্ঠিবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজকে আমরা স্বাধীনভাবে কেক কেটে এক আনন্দ র্যলি উদযাপন করতে পারতেছি আমাদের জানতে হবে এই গণধিকার পরিষদ কোথা থেকেই আসলো,বিপি নূর ভাইয়ের সম্পর্কে জানতে হবে সে কেমন লোক আমরা তার রাজনীতি করি। আমরা জেনে বুঝি এসেছি। একজন সৎ চরিত্রবান তার জীবনে কোন দাগ নাই। কলঙ্ক নাই। আমাদের পটুয়াখালীর গর্ব, তাই আমরা গন অধিকার পরিষদ এমনি এমনি পাইনি। অনেক অত্যাচার হামলা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে। আমাদের নূর ভাইয়ের উপর অত্যাচার করেছে।২০১৮ সাল থেকে আমাদের আমাদের নূর ভাইয়ের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছিল আমাদের জীবনে এই বাংলাদেশে কোন নেতা এত অত্যাচার হয়নি। কিন্তু আমাদের পটুয়াখালীর গর্ব নুর ভাই পটুয়াখালী সন্তান,সে দেখিয়ে দিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে নেই,যত বড় বিপদ আসুক। তারপর বক্তব্য শেষে, রাস্তায় আনন্দ র্যালি হয়।খুব সুন্দর ভাবে সেই আনন্দ র্যালি উৎযাপিত হয়।